রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন রক্ত দানের যোগ্যতা ও রক্ত দানের গুরুত্ব এবং রক্ত দানের ক্ষতি সম্পর্কে। তো যারা রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা - রক্তদানের উপকারিতা
- রক্ত দানের অপকারিতা - রক্ত দানের ক্ষতি
- রক্ত দানের গুরুত্ব - রক্ত দানের যোগ্যতা
- রক্ত দানের ফজিলত
- রক্ত দানের পর করণীয়
রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা - রক্তদানের উপকারিতা
রক্ত দান একটি সওয়াবের কাজ। রক্ত দানের ফলে অন্যের যেমন লাভ হয় তেমনি নিজের ও কিছু লাভ হয়। তো এগুলো সম্পর্কে জানতে আজকে রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে পোস্ট। যারা রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না বা জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই " পোস্টটি অনেক হেল্পফুল হবে। তো চলুন আজকের পোস্টের রক্ত দানের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক।
রক্ত দানের ফলে যে উপকারটি প্রধান সেটি হলো আপনার রক্তের মাধ্যমে অন্য জনের জীবন বাঁচানো। এর চেয়ে মহৎ কাজ আর কি হতে পারে আপনি একটি বার ভেবে দেখুন। রক্ত দানের ফলে কখনো রক্ত কমে যায় না। বরং রক্তূানের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শরীরে রক্ত স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসে ও দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘাটতি পূরণ হয়। রক্ত দানের ফলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ে ও লোহিত রক্ত কণিকা প্রাণবন্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ সন্তান জন্মের পর ফিটনেস ফিরে পেতে কি করবেন
নিয়মিত রক্ত দানের ফলে হার্ট অ্যাটাক এর ভাব কমে। যারা বছরে ৩ - ৪ বার রক্ত দেয় তাদের শরীরে বিভিন্ন ক্যান্সার ও রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আপনারা এখন পর্যন্ত রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা - রক্ত দানের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক গুলো ধারণা পেয়েছেন।
ইসলামে রক্ত দানের মহত্ত্বের কথা বলা হয়েছে যার ফলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন রক্ত দান কারীকে অধিক ভালোবাসেন। আশা করি রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা এর উপকারিতা সম্পর্কে বুঝছেন। রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা এর উপকারিতা সম্পর্কে আরো জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
রক্ত দানের অপকারিতা - রক্ত দানের ক্ষতি
তো যারা রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা - অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাদেট জন্য এইন প্যারাটি। তো চলুন জেনে নিই রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা এর অপকারিতা বা রক্ত দানের ক্ষতি সম্পর্কে।
রক্ত দেয়ার সময় দাতা ও গ্রহীতার ব্লাড গ্রুপ ও কম্পোসিট সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ কম্পোসিট অনুসারে রক্ত না পেলে এতে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তবে রক্ত দানের সময় খেয়াল রাখতে হবে গ্রহীতার কোনো ইম্পেক্ট যাতে দাতার শরীরে না আসে। তা না হলে দাতার জন্য সমস্যা হতে পারে। আশা করি রক্ত দানের উপকারিতা ও অপকারিতা এর অপকারিতা সম্পর্কে বঝতে পেরেছেন। নিশ্চয়ই রক্ত দানের ক্ষতি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও রক্ত দানের গুরুত্ব ও রক্ত দানের যোগ্যতা জানতে নিচে যান।
রক্ত দানের গুরুত্ব - রক্ত দানের যোগ্যতা
আমরা ইতিমধ্যে রক্ত দানের ক্ষতি সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা রক্ত দানের গুরুত্ব ও রক্ত দানের যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত হব। একজন ব্যক্তির রক্ত দানের ফলে একজন মানুষের জীবন রক্ষা পায়। এর চেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর কি হতে পারে। রক্ত দানের ফলে যেমন অন্য জনের জীবন বেঁচে যায় তেমনি নিজের জন্যেও এর অনেক ভালো দিক রয়েছে। এর ফলে রক্তদাতার শরীরের রক্ত গুলো পরিশুদ্ধ হয়। তার শরীরে অনেকাংশে ক্যান্সার ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে।
আরো পড়ুনঃ আল্লাহর রাস্তায় দান করার ফজিলত কি
একজন ব্যক্তি তখনই রক্ত দানের যোগ্যতা লাভ করে যখন তার বয়স ১৮ বছর ও ৬০ বছরের মধ্যে বয়স হয় এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ তাকে। অবশ্যই সে ব্যক্তির ওজন ৪৮ বা তার বেশি হতে হবে। তাহলে সে রক্ত দান করতে হবে। রক্ত দানের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের উচিত ৩ মাস অন্তরান্তর রক্ত দান করা। আশা করি আমরা রক্ত দানের গুরুত্ব ও রক্ত দানের যোগ্যতা বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও রক্ত দানের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পরবর্তী প্যারা অনুসরণ করুন।
রক্ত দানের ফজিলত
আমরা অনেকে রক্ত দানের ফজিলত জানিনা। তো চলুন জেনে নিই রক্ত দানের ফজিলত সম্পর্কে। ইসলামের দৃষ্টিতে রক্ত দান সওয়াবের কাজ। তবে সেটা তখনই সওয়াব হয় যখন ওই ব্যক্তির মৃত্যু বা কোনো বড় দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে রক্ত দান করা অবশ্যই উত্তম। রক্ত দান কারীর জন্য পরকালে অনেক পুরস্কার রয়েছে। তবে কেই রক্ত বিক্রি করলে এ সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
রক্ত বিক্রি জায়েজ নয় ইসলামের মধ্যে। কিন্তু যে শর্তের ভিত্তিতে প্রথম সুরতে রক্ত দেওয়া জায়েজ সাব্যস্ত হয়েছে - ওই অবস্থায় যদি যথা রক্ত বিনামূল্যে পাওয়া না যায় - তখন তার জন্য মূল্যে দিয়ে রক্ত ক্রয় করা জায়েজ। কিন্তু যে রক্ত দেবে তার জন্য রক্তের মূল্য নেওয়া জায়েজ নয় [জাওয়াহিরুল ফিকহ, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৩৮]।
তাই রক্ত বিক্রি করা যাবে না। তা যদি হয় তাহলে সওয়াব তো দূরের কথা বরং আরো গুন্নাহ হবে। আশা করি রক্ত দানের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়া রক্ত দানের পর করণীয় কি তা জেনে নিই।
রক্ত দানের পর করণীয়
রক্ত দানের পর করণীয় কি তা কি আমরা সবাই জানি? যারা রক্ত দান করেন তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ রক্ত দানের পর করণীয় সম্পর্কে জানা। রক্ত দানের পর করণীয় হলো রক্ত দানের পর রক্ত দাতার যেসব করণীয় তা হলো রক্ত দানের পর অন্তত ৩০মিনিট সময় বিশ্রাম নিন, সেদিন সকল ধরনের ভারী ও কষ্টসাধ্য কাজ থেকে দূরে থাকুন, রক্ত দানের পর পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন, সকল ধরনের ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন, বেশি বেশি পানি পান করুন, ইত্যাদি। এ কাজ গুলো করলে আপনার শরীর স্বাভাবিক অবস্থানে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে।
আরো পড়ুনঃ জীবনে বড় হতে হলে কি করতে হবে
আশা করি রক্ত দানের পর করণীয় কি তা বুঝতে পেরেছেন। তো নিশ্চয়ই আজকের পোস্টটি ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। 18801
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url