বুক জ্বালাপোড়া করার ১০টি কারণ

1. ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া।
2. বুক জ্বালা পরার আরও একটু অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান করা।
3. অ্যালকোহল সেবন বা মদ্যপান করা।
4. অতিরিক্ত মাত্রায় চা ও কফি পান করা।
5. অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকা অনেক সময় বুক জ্বালা পড়ার জন্য দায়ী।
6. কালো গোল মরিচ ও সিরকা যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
7. আচার, টমেটোর সস, কমলার রস, ও পিপারমেন্ট ইত্যাদি খাবার অনেক সময় বুক জ্বালা করার জন্য দায়ী।
8. পিত্ত থলিতে পাথর থাকলেও অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে।
9. এছাড়া পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ যেমন একসাথে বেশি পরিমাণ খাওয়া ও মোটা বেল্টের প্যান্ট পরাই তাদের কারণে বুক জ্বালা করা হয়ে থাকে।
10. গর্ভাবস্থায় অনেক কারণে বুক জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে।

বুক জ্বালাপোড়া করে কেন

1. খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর সংযোগস্থল যা লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিংটাল নামে পরিচিত। যদি ঢিলে হয়ে যায় বা তার স্বাভাবিক সংকোচনের ক্ষমতার হ্রাস পায়।
2. পাকস্থলীর হায়াটাস হার্নিয়া হলে।
3. পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিডিটি ও পাকস্থলীর সংকোচন প্রসারণ স্থিরতা।
4. পেটের ভেতরকার চাপের বৃদ্ধি যেমন গর্ভাবস্থায় বা শারীরিক স্থূলতার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
5. ক্ষেত্র বিশেষে খাদ্যনালির চলাচল স্বাভাবিকের থেকে ধীর হলেও এমনটি হতে পারে।

বুক জ্বালাপোড়া করলে কি করবেন

1. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
2. নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস করুন।
3. ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন।
4. তিন বেলা মূল খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত তরল বা পানি পান থেকে বিরত থাকুন।
5. একেবারে ২০০ মিলি লিটারের বেশি তরল বা পানীয় গ্রহণ না করাই ভালো।
6. খাবারের সময় পাকস্থলীর একটি অংশ সবসময় খালি রাখা উচিত।
7. নামাজ বা পার্থনা খাওয়ার পূর্বে শেষ করা ভালো।
8. খারাপ রাতের খাবার খাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘন্টা পর ঘুমাতে যাওয়া।
9. কিছু খাবার যায় এই উপসর্গ বাড়ায় যেমন চা, কফি বা কোমল পানিও এ সকল থেকে দূরে থাকা।
10. ওমরিপ্রাজল, ডম্পেরিডন এবং কিছু নতুন অ্যাসিড পকেট নিউট্রালাইজার জাতীয় ঔষধ এই উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।

বুক জ্বালাপোড়া কমাতে কি খাবেন

1. পানি- প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
2. শসা- পেট ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকারী খাবার হচ্ছে শসা কাঁচা শসা হজমের সাহায্য করে। শসা খাওয়ার ফলে আপনার বুক জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
3. পেঁপে- পেঁপেতে রয়েছে পেঁপেই নামক এনজাইম যা হজম শক্তি বাড়ায়। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
4. আনারস- আনারসে রয়েছে ৮৫ শতাংশ পানি এবং ব্রোমেলিন নামক হজমে সাহায্যকারী প্রাকৃতিক এনজাইম যা অন্তত কার্যকরী একটি পাচন রস।
5. কলা- যারা বেশি করে লবণ খান তাদের গ্যাস ও হজমের সমস্যা হতে পারে এর কারণে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। কলেজে পটাশিয়াম আছে তার শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং কলা খাওয়ার ফলে আপনার বুক জ্বালাপোড়া কমে যাবে।

1. একেবারে ভরা পেট খেলে এই সমস্যা বেশি হয় তাই একেবারে ভরা পেট খাবেন না।
2. যে সকল খাবার কিংবা পানিও খেলে আপনার সমস্যা বেড়ে যায় সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
3. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে কিছু খাবেন না।
4. বিছানায় শোবার সময় আপনার মাথার বুক যাতে কোমরের চেয়ে ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উঁচু অবস্থানে থাকে সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
5. এমন কাপড় পড়বেন না যা কোমরে আকাশ এটা হয়ে বসতে হয়।
6. আপনার ওজন অতিরিক্ত হলে তা কমিয়ে ফেলুন।
7. ধূমপান করবেন না।
8. অতিরিক্তের চেয়ে বেশি খাবার খাবেন না।
9. মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।