চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ
চোখের প্রেসার কমানোর উপায় ও চোখের প্রেসার এর লক্ষণ এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চোখকে সুস্থ ও ভালো রাখার জন্য চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ এ সম্পর্কে খোঁজ করে থাকে।
চোখ নিয়ে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং বিভিন্ন জায়গায় চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ
ভূমিকা
রক্তচাপ বৃদ্ধির মত চোখের ও চাপ বা প্রেসার বাড়তে পারে। তবে চোখের এ চাপ মোটেও রক্তচাপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। চোখের ভেতরে পানির মত এক ধরনের তরল পদার্থ আছে যা চোখে নির্দিষ্ট আকার আকৃতি বজায় রাখে এবং পুষ্টির যোগান দেয়। এই তরল চোখের ভেতরে নির্দিষ্ট হাড়ে তৈরি হয় এবং নির্দিষ্ট পথ দিয়ে বের হয়ে এসে চাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। যদি ঠিকমতো বের হতে না পারে কিংবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত তৈরি হয় তখন চোখের চাপ বেড়ে যায় বা যেটাকে বলে চোখের প্রেসার বেড়ে যাওয়া। এই অবস্থার নামই গ্লুকোমা। চোখকে ভালো ও সুস্থ রাখতে আমাদের সবার উচিত চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কের সঠিক জ্ঞান থাকা।
বিশ্বজুড়ে লাখ মানুষের অন্ধের কারণ গ্লুকোমা তবে সচেতনা আর নিয়মিত চিকিৎসার ফলে এই অন্ধত্ব রোধ করা যায়। ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর চোখের পেশিগুলোর চারপাশে মালিশ করুন বা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে আসুন। তবে মালিশ করতে হাত দিয়ে খুব জোরে চোখ ঘষা উচিত নয়। এবং চোখের শুষ্কতা দূর করতে কিছুক্ষণ পরপর চোখের পলক ফেলা প্রয়োজন। চলুন তাহলে চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
চোখের প্রেসার কমানোর উপায়
আমাদের দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু অপটিক নার্ভ চোখের অতিরিক্ত চাপের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাপে অপটিক নার্ভের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে রোগীর অন্ধ হয়ে যায়। তাই আমাদের চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে থাকতে হবে। তাই বলে গ্লুকোমা হলেই যে চোখ অন্ধ হয়ে যাবে কিংবা এর কোন চিকিৎসা নেই এমন ধারণাও সত্য নয়। তবে চিকিৎসা শুরুর আগে দৃষ্টির যে ক্ষতি হয়ে যায় তা পূরণ করা আর সম্ভব হয় না। চিকিৎসার মাধ্যমে যতটুকু দৃষ্টি শক্তি অবশিষ্ট থাকে তা টিকিয়ে রাখা যায়। কাজে গ্লুকোমা হলে দুশ্চিন্তা না করে সময়মতো চিকিৎসা নিন।
চোখের প্রেসার কমানোর উপায় হল-
- চোখ বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার একমাত্র উপায় হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। তারা ভিটামিন জাতীয় খাবার ও ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন।
- চোখের সুস্থতায় পালং শাক বা কলি সালাত ও রঙিন সবজি খাওয়া উপকারী। সবুজ শাক সবজি থেকে লুটেইন নামক উপাদান চোখের রোগ থেকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে বলে জানান অনেক বিশেষজ্ঞ।
- ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিন অনুযায়ী রঙিন খাবার হলুদ ও কমলা রঙের সবজি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- কলা, আঙ্গুর ও আম উচ্চ ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যার চোখের রোগ থেকে সুস্থতা দান করে। ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার চোখের আর্দ্রতা রক্ষা করে ফলে শুষ্কতা দূর হয় এবং চোখ সুরক্ষিত থাকে।
- বিরতি, কাজের ফাঁকে নিয়মিত বিরতি নেওয়া প্রয়োজন।
- বেশিক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ শুরু করার পর প্রতি ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। দুই ঘন্টা অন্তর অন্তর চোখের পেশীগুলো চারপাশে মালিশ করুন বা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে আসো।
- নীল আলো থেকে সুরক্ষা দেয় এমন উন্নত চশমা ব্যবহার করুন।
- পরিবার ও পোষা প্রাণী সঙ্গে সময় কাটানো একটি ভালো উপায় চোখের প্রেসার কমানোর জন্য।
চোখের প্রেসার এর লক্ষণ
চোখের প্রেসার বাড়া কে চিকিৎসকের ভাষায় গ্লুকোমা বলে। গ্লুকোমা হলো এমন একটি অবস্থার সেট যার ফলে অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি হয়। অপটিক স্নায়ুর চোখের পেছনে অবস্থিত এবং এটি চোখ থেকে মস্তিষ্কের চক্ষুষ সংকেত প্রেরণ করে যা ভিজুয়ালাইজেশনে সাহায্য করে। অপটিক নায়ক ক্ষতির ফলে অন্ধত্ব হতে পারে। গ্লুকোমায় অপটিক স্নায়ু প্রায় এটির ওপর চাপানো অস্বাভাবিক উচ্চচাপ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপটিক স্নায়ুর এই ক্ষতির ফলে শেষ পর্যন্ত অন্ধত্ব হতে পারে। চোখকে ভালো রাখার জন্য চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক চোখের প্রেসার এর লক্ষণ গুলো কি কি।
চোখের প্রেসার এর লক্ষণ হল-
- দৃষ্টি ক্ষতি।
- ঝাপসা দৃষ্টি।
- অবিরাম মাথাব্যথা।
- চোখ লাল হওয়া।
- পেট খারাপ ও বমি বমি ভাব এবং বমি।
- চোখে ব্যথা।
- প্রান্তরিক প্রেসবায়োপিয়া।
চোখের প্রেসার কেন হয়
চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ এর পাশাপাশি আমাদের এটাও জানতে হবে চোখের প্রেসার কেন হয়। চলুন তাহলে এ সম্পর্কে এবার বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। আমাদের চোখে একটি তরল পদার্থ থাকে কোন কারণে তরল যদি ঠিকমতো বের হতে না পারে কিংবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত তৈরি হয় তখন চোখের চাপ বেড়ে যায় যাকে গ্লুকোমা বলে। বিশ্বজুড়ে লাখ মানুষের অন্ধত্বের কারণ গ্লুকোমা তবে সচেতনা আর নিয়মিত চিকিৎসা এই অন্ধত্ব রোধ করা যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের অন্ধত্বের প্রধান কারণগুলো গ্লুকোমাকেও বলা হয়। কয়েক ধরনের গ্লুকোমায় রোগী কোন লক্ষণ ছাড়া সনাক্ত করা যায় না। প্রভাবটি এমন পরিমাণে স্থির থাকে যে অবস্থাটি গুরুতর পর্যায় না হওয়া পর্যন্ত এটি লক্ষ্য করা যায় না।
আরো পড়ুনঃ কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা
চোখের প্রেসার কেন হয়-
- চোখের ভেতরে জলীয় হাস্যরস তৈরি করা।
- জেনেটিক কারণ।
- জন্ম ত্রুটি।
- ভোঁতা বা রাসায়নিক আঘাত।
- তীব্র চোখের সংক্রমণ।
- চোখের ভেতরে রক্তনালী দ্বারা ব্লকেজ।
- প্রদাহজনক অবস্থা।
- বিরল ক্ষেত্রে, আগের চোখের অস্ত্রপ্রচার।
গ্লুকোমা টেস্ট খরচ
গ্লুকোমা এক নীরব ঘাতক। এর কারণে চোখের দৃষ্টি একবার হারিয়ে গেলে তা আর ফেরত আসে না। গ্লুকোমার সর্বশেষ পরিণতি চিরতরে অন্ধ হওয়া। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে যদি এই রোগ ধরা পড়ে তবে এই আশঙ্কা নেই বলে চলে। তাই আমাদের চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কের সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী। এমন অনেক রোগীও আছেন যাদের গ্লুকোমার কারণে 99% দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় চিকিৎসকের কিছু করার থাকে না কিন্তু তিনি যদি এক ভাগ গ্লুকোমা নিয়ে আসতেন তবে বলা যেতে পারে তিনি অন্ধ হবেন না।
চোখের ভেতর অনেকগুলো নার্ভ রয়েছে। এর ভেতর প্রায় ১২ লাখ নার্ভ গ্যাংলিয়ন সেল থাকে। এই সেলগুলোর কাজ হচ্ছে দেখা। ১২ লাখ নার্ভ যখন ঠিক থাকে তখন আমাদের দৃষ্টিশক্তির ঠিক থাকে সাধারণত কোনো কারণে চোখের প্রেসার বেড়ে গেলে নার্ভগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নার্ভের মাধ্যমে সংকেত ব্রেনে চলে যায় তখন আমরা দেখতে পাই। ৩০০০ থেকে ৭৫০০০ রুপি নির্দিষ্ট কারণের ওপর নির্ভর করে যার রোগী থেকে রোগীর মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।
চোখের সমস্যা বোঝার উপায়
চোখের সমস্যা কম বেশি আমাদের সবারই আছে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা বুঝতে পারেন না তাদের চোখের সমস্যা হয়েছে কিনা বা কখন চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে। নিজের চোখের অবস্থা ও লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হবে চোখের কিছু লক্ষণ আপনাকে বলে দেবে চিকিৎসককে চোখ দেখানোর কথা। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক চোখের সমস্যা বোঝার উপায় সম্পর্কে কারণ কোন রোগ ধরতে না পারলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।
চোখের সমস্যা বোঝার উপায় হল-
- রাতে গাড়ি চালানোর সময় স্পষ্ট দেখা- রাতে গাড়ি চালানোর সময় যদি দেখেন দূরের জিনিস ষ্পষ্ট লাগছে বা অন্ধকারে কিছু দেখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বুঝবেন আপনার চোখের সমস্যা হয়েছে।
- চোখ লাল অথবা গোলাপি হওয়া- চিকিৎসকদের মতে চোখ লাল অথবা গোলাপি হওয়া বিপদজনক। কনজাংটি ভাইটি প্রদাহ, এলার্জি বা চোখে পানি পড়ার কারণে এমনটি হয়। তবে বেশিরভাগ সময় পানি পড়ার কারণে হয়।
- ঝাপসা দেখা- আপনি সোফায় বসে টিভি দেখছেন কিন্তু ভালো দেখা যাচ্ছে না ঝাপসা লাগছে বুঝে নেবেন আপনার চোখে ডাক্তার দেখানোর সময় হয়েছে।
- চোখে ব্যথা করা- চোখে ব্যথা করা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। চোখ ব্যথা মানুষকে অন্ধ করে দিতে পারে। তীব্র গ্লুকোমার এর কারনে এটি হয়। এর ফলে অপটিক নায়ক ক্ষতিগ্রস্ত ও অন্ধ হয়ে যায়।
- ঘন ঘন মাথাব্যথা- মাথা ব্যাথা নানা করনে হয় চোখের জন্য হয়। ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণে গুরুতর কিছু হতে পারে এজন্য মাথা ব্যাথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এছাড়া চোখের ড্রাই চিলডোম থাকলে পানি পড়া সমস্যা দেখা দেয় এ সমস্যা সমাধানের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখে আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
চোখের ড্রপের নাম
গ্লুকোমা যে কারো হতে পারে। তাই সবাইকে চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সচেতন থাকা ভালো। তবে ৪০ বছরের উর্ধ্বে যাদের ডায়াবেটিস, মাইনাস পাওয়ার অথবা যার মা বাবা গুলোকুমার রোগী তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বছরের দু তিনবার চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করুন। চোখ পরীক্ষা মানে কেবল চশমার পাওয়ার দেখা নয় বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে চোখের ভেতরকার চাপও মাপা হয়। যদি এতে সমস্যা পাওয়া যায় তাহলে আরো কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে চোখের চাপ স্বাভাবিক রাতে চোখের ড্রপ বা খাওয়ার ওষুধ ব্যবহার করতে হতে পারে।
দরকার হলে তরল বহির্গো অবরুদ্ধ পথ খুলে দিতে অস্ত্র প্রচারক করা লাগতে পারে। নিয়মিত চেকআপ আর যথাসময়ে চিকিৎসা নিলে চোখের চাপ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব বন্ধুত্ব থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।গ্লুকোমল ০.৫% আই ড্রপ একটি বিটা-ব্লকার। এটিওকালুলার হাইপারটেনশন এবং ওপেন-এঞ্জেল গ্লুকোমাকে চিকিৎসা করে। এটি তরল ওভার-উৎপাদন এবং চোখের ভেতরের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করে যাতে অন্ধত্ব এর সম্ভাবনা গুলি প্রতিরোধ হয়। এই ঔষধ স্বাভাবিকভাবে মুখ দিয়ে বা চোখের ড্রপে উভয় হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন চোখের প্রেসার কমানোর উপায় - চোখের প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url