কোন কোন কারণে নারী -পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে

 আপনি কি কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। তাই কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে তা জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে
নিচে আপনাদের জন্য বন্ধ্যাত্ব মানে কি, পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় কি এবং কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে তা জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে তা জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে

বন্ধ্যাত্ব মানে কি

আপনি কি বন্ধ্যাত্ব মানে কি সে সম্পর্কে জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখনই জেনে নিন যে বন্ধ্যাত্ব মানে কি। বন্ধ্যাত্ব হলো মানসিক বা শারীরিক সমস্যার একটি অবস্থা যা মহিলার গর্ভধারণ সম্পন্ন করতে অসমর্থতা উৎপন্ন করে। অর্থাৎ, বন্ধ্যাত্বে মহিলার যৌনসঙ্গমের ফলে শিশুর গর্ভাবস্থায় আসা সম্ভব হয় না বা মাসিক চক্রের নিয়মিত অবস্থা থাকতে পারে না। 
বন্ধ্যাত্ব বা বাঁধনত্ব হলো নারীর গর্ভাবস্থায় শিশু ধারণ করতে না পারা অবস্থা। অর্থাৎ, কোনো নারী যদি বেশি সময় ধরেই প্রয়াস করলেও গর্ভাবস্থায় আসতে না পারেন অথবা সবাধুবধু গর্ভধারণ করতে সক্ষম না হয়, তবে সেই অবস্থাকে বন্ধ্যাত্ব বলে। এটি একটি মেডিক্যাল শব্দ এবং বিভিন্ন কারণে যেমন শারীরিক ও মানসিক উভয় কারণেই এই অবস্থা সংঘটিত হতে পারে।

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় কি

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় কি সে সম্পর্কে অবগত হওয়া অবশ্যই জরুরি। কেননা আমাদের দেশ ৪০-৫০% বন্ধ্যাত্বের সমস্যা পুরুষদেরই হয়ে থাকে। কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে কেউ ভাবে না অথবা কেউ গুরুত্ব দেই না। কিন্তু এই বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় কি তা জানা জরুরী। পুরুষের পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় জানার পুর্বে জানতে হবে কেন বন্ধ্যাত্ব হয়েছে সেই কারণটি।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের প্রধান সমস্যা হচ্ছে মানসম্মত শুক্রানু তৈরি করতে না পারা। তাই প্রুরুষের বন্ধ্যাত্ব কাটাতে হলে মানসম্মত শুক্রাণু উৎপাদন করতে হবে। আর এই শুক্রাণুর সমস্যা যদি জিনগত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কোনভাবেই তা ভালো করা সম্ভব না আর যদি শুক্রাণুর সংখ্যা, আকৃতি, চলনক্ষমতার মধ্যে ত্রুটি থাকে তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ডাক্তারের শ্বরণাপন্ন হতে হবে। আর মাদক গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন, অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে যাবে না। তাহলে পুরুষ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কাটানো যেতে পারে।

কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে

কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানানো হবে। কেননা বন্ধ্যাত্ব শুধু মেয়েদেরই হয় না ছেলেদেরও হয়। সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা শুধু মেয়েদেরই সমস্যা নয় বরং এই সমস্যা ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই। এমন কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে নারী ও পুরুষ উভয়ই বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে তা নিচে বর্ণনা করা হলো।
অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন করলে নারী -পুরুষ উভয়েরই এই সমস্যা থেকে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হলেও নারী-পুরুষ উভয়েরই এই সমস্যা থেকে বন্দ্ব্যাত্বের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক অর্থাৎ মাসিকে সমস্যা, হরমোনে সমস্যা, খাদ্যাভ্যাসজনিত সমস্যা, যৌন মিলনে চাহিদা না থাকা, মনস্তাত্বিক সমস্যা। ইত্যাদি সমস্যার কারণে নারীদের বন্ধ্যাত্ব হয়। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে মানসম্মত শুক্রাণু উৎপাদন করার সক্ষমতা না থাকা, যোনাঙ্গের সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন এবং দীর্ঘদিন যৌন মিলন থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি সমস্যার ফলে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হতে পারে।

নারী বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় কি

আমাদের দেশে দেখা যায় যে অনেক নারীই বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এখন কথা হচ্ছে নারী বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় কি সে সম্পর্কে সকলের জানা উচিত। নিয়মিত যৌন সম্পর্ক, নিয়মিত যৌন সম্পর্ক রাখা বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়ে যৌন সম্পর্ক রাখলে বাচ্চা ধারণের সুযোগ বাড়ে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য, পর্যাপ্ত শুত্রাংশ, স্বাস্থ্যকর ওজন ও শরীরের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে থাকা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত স্ক্রীনিং এবং চেকআপ প্রক্রিয়াগুলি সম্পাদন করে বন্ধ্যাত্বের সমস্যাগুলি শনাক্ত করে দিতে পারে এবং যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। তাহলে বন্ধ্যাত্ব কাটানো সম্ভব হবে।

মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ

মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ অনেকগুলোই রয়েছে। একেজনের একেক কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন কারো কারো অস্বাভাবিক ওজন বেশির ফলে অথবা অস্বাভাবিক কম ওজনের কারণে বন্ধ্যাতের সমস্যা হয়। আবার কারো কারো মাসিক সমস্যা, যৌন সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন, গর্ভাবস্থার সমস্যা ইত্যাদি সমস্যার কারণে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হয়। আশা করি মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং মকোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে তা জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটিতে কোন কোন কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে ছাড়াও কিছু বিষয় যেমন মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ নারী বন্ধ্যাত্ব কাটানোর উপায় কি ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্যগুলো বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url