পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখলে ঘরে বসেই আপনি আপনার পা তাই আপনি পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দূর করা ফাটার সমস্যা দূর করতে পারবেন। তাই আপনি যদি পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র: পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পা ফাটা খুবই কমন একটি সমস্যা। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা দেখা দিলেও বছরের যে কোন সময় এই সমস্যা হতে পারে। পা ফাটা দূর করার জন্য বিশেষ কিছু উপায় রয়েছে, যে উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি অল্প সময়ের মধ্যে পা ফাটার সমস্যা দূর করতে পারবেন। নিচে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। নিম্ন বর্ণিত পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ অবলম্বন করার মাধ্যমে আশা করি আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
- গ্লিসারিন লবন এবং গোলাপজল এর ফুট মাস্ক: ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১ টেবিল চামচ লবন এবং ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল সামান্য গরম পানির সাথে একত্রে মিশ্রিত করে ফুট মাস্ক তৈরি করে সেই পানিতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার পা ফাটা দূর হয়ে যাবে।
- ভেজিটেবল ওয়েল: ২ টেবিল চামচ পরিমাণ ভেজিটেবল ওয়েল রাতে শোয়ার আগে পায়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এরপরে মোজা পরিধান করে ফেলুন। সকালবেলা মোজা খুলে ফেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এতে করে খুব সহজেই পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- কলা এবং অ্যাভোকাডোর ফুট মাস্ক: একটি পাকা কলা এবং দুইটি অ্যাভোকাডোর সংমিশ্রণে ফুট মাস্ক তৈরি করতে হবে। এরপরে সেই মাস্ক নিয়মিত কিছুদিন আপনার পায়ে ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ঘুমানোর পূর্বে কলা এবং ভোরবেলা অ্যাভোকাডোর ফুট মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও দিনের বেলা আরো দু'একবার ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত কিছুদিন এইভাবে কলা এবং অ্যাভোকাডোর ফুট মাস্ক ব্যবহার করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পায়ের ফাটা দূর হয়ে যাবে।
- পেট্রোলিয়াম জেলি: পা ফাটা দূর করার সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজলভ্য উপায় হলো পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা। বিশেষ করে শীতকালে যদি আপনার এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি খুবই কার্যকর। সকাল বিকাল নিয়মিত কিছুদিন পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে খুব দ্রুতই পা ফাটা দূর হয়ে যায়।
- মধু: ভেষজ গুণে ভরপুর প্রাকৃতিক রস হলো মধু। মধু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন উপকারে আসে। আপনি এক কাপ মধু সামান্য গরম পানির সাথে মিশ্রিত করে সেই পানি পায়ে ব্যবহার করলে পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
আরো পড়ুন: মানি লন্ডারিং কি? - মানি লন্ডারিং শাস্তি
- চালের গুড়া: এক থেকে দুই টেবিল চামচ চালের গুড়া, এক টেবিল চামচ মধু এবং দুই তিন ফোঁটা আপেল সিডার ভিনেগার একত্রে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করার পর সেই পেস্ট ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- অলিভ অয়েল: বহুগুনে গুণান্বিত অলিভ অয়েল পা ফাটা দূর করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে তাই আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে প্রাকৃতিক উপায় পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত কিছুদিন উড়ে বইয়ের ব্যবহার করতে হবে।
- তিলের তেল: পা ফাটা আদর করা আরেকটি কার্যকর উপায় হল তিলের তেল ব্যবহার করা আপনি যদি প্রতিদিন দিনে অন্তত দুইবার পায়ের ফাটা অংশে তিলের তেল ব্যবহার করেন আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন।
পা ফাটা কমানোর প্রকৃতিক নিয়ম
আর্টিকেলটির এই অংশে পা ফাটা কমানোর প্রকৃতিক নিয়ম সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি পা ফাটা কমানোর প্রকৃতিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো পড়তে থাকুন। পা ফাটা কমানোর প্রকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- নারকেল তেল: পায়ের ফাটায় নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পায়ের ফাটা দূর হয়ে যায়। তাই আপনি পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- ব্যাকিং সোডা: ব্যাকিং সোডা পা ফাটা দূর করার আরেকটি কার্যকর উপায়। ৩ টেবিল চামচ বেকিং সোডা পরিমিত পরিমাণে গরম পানির সাথে মিশ্রিত করে, সেই পানিতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রেখে এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
- এলোভেরা: এলোভেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। পাতা থেকে এলোভেরা জেল বের করে সেই জেল পায়ের ফাটা অংশে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। দিনের যে কোন সময় আপনি পায়ে এলোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অধিক উপকার পেতে চাইলে রাত্রে শোয়ার পূর্বে এবং সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল: ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভিতরে থাকা তেল জাতীয় পদার্থ আপনার পায়ের ফাটা অংশে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে কিছুদিন পায়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে পা ফাটা দূর হয়ে যায়।
কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যে সকল ভিটামিনের সমস্যার কারণে পা ফাটার মত সমস্যা দেখা দেয় সেই ভিটামিন গুলো সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হবে। নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাবে সাধারণত পা ফাটার মত সমস্যা দেখা দেয়। এখন প্রশ্ন হলো কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে? ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩ এবং ভিটামিন ই এর অভাবে সাধারণত পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়।
তাই আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে উপরে লিখিত ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। প্রয়োজনে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩ এবং ভিটামিন ই ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। আপনি যদি ভিটামিন জাতীয় ঔষধ গুলো সেবন করেন তাহলে দ্রুত ফলাফল পাবেন। যাই হোক, কোন ভিটামিনের অভাবে পা ফাটে? আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন।
পা ফাটা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন
আপনি যদি পা ফাটা রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান সেক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন। নিচে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, পা ফাটা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন, সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
- পা সব সময় পরিষ্কার রাখুন।
- মোজা ব্যবহার করুন।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- চাপা জুতা পরিহার করুন।
- স্যান্ডেল ব্যবহার করা পরিহার করুন। পা ঢেকে থাকে এমন জুতা ব্যবহার করুন।
- প্রচুর পানি পান করুন এবং হাইড্রেট থাকুন।
উপসংহার
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটিতে উল্লেখিত তথ্যগুলো যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url