মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

 মসুরের ডাল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আপনি কি জানেন মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চাইলে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।


মসুর ডালে বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। মসুর ডাল সকল ত্বকের জন্য উপকারী। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুরের ডালে কি কি পুষ্টিকর উপাদান থাকে

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানার আগে মুসুরির ডালের মধ্যে কি কি পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে তা জানা অনেক জরুরী। মসুর ডালে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার, এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন-বি-১ প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। ১০০ গ্রাম মুসুর ডালে প্রায় ১১৬ ক্যালোরি থাকে।

এছাড়া এতে ১১ শতাংশ ডায়েটারি ফাইবার, ৬৩ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২৫ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। গলা, অন্ত্রের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে উপকারী এবং হিমোগ্লোমিন বাড়ায় মসুর ডাল। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এই ডাল উপকারী। মসুর ডাল রক্তে শর্করা আর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ত্বকের যত্নেও সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রোটিন ও খনিজ উপাদান।

মসুরের ডালের ব্যবহার ও উপকারিতা

মসুরের ডাল আমরা সবাই কমবেশী খেয়ে থাকি এবং রূপচর্চায় ব্যবহার করি। সব ডালের মধ্যে কিছু না পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার মধ্যে মসুর ডাল সবচেয়ে জনপ্রিয়। মসুর ডাল অনেক উপকারী। মসুরের ডালে প্রোটিন ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন এ, সি ও ই রয়েছে। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানার আগে আমাদের জানতে হবে মসুর ডালের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে। নিম্নে মসুরের ডাল ব্যবহার ও উপকারিতা দেওয়া হলোঃ
  • মসুর ডাল প্রায় সময়ই ঘরে থাকে তাই সহজেই রূপচর্চা করার কাজে ব্যবহার যায়। মসুর ডাল পাটায় পিষে বা ব্লেন্ড করে পেষ্ট করে নিয়ে অথবা ডাল ধুয়ে শুকিয়ে গুড়ো করে ঘরে রেখে দিলে, যেকোন সময় ব্যবহার করা যাবে।
  • প্রতিদিন নিয়মিত শুধু মসুর ডাল পেষ্ট করে ফেইস প্যাক বানিয়ে হাতে, পায়ে, মুখে, গলায় লাগিয়ে রেখে, ১০/১৫মিনিট পর পানি দিয়ে হাল্কাভাবে ঘষে ধুয়ে ফেললে, তাতে লোমের কোনে বা কোষে অনেক ধরনের ময়লা জমে থাকে তা উঠে যাবে, ত্বকের পুষ্টির অভাব দূর হবে, চামড়া সতেজ হবে, ত্বক সুন্দর উজ্জল হবে। আমরা প্রায় সবাই বিশেষ করে মুখে ব্যবহার করে থাকি। 
  • মসুর ডাল ১ চামচ(পেষ্ট করা) অথবা গুড়ো ২ চামচ, কাঁচা হলুদ বাটা ১ চামচ সাথে কাঁচা লেবুর রস আধা চামচ ও গোলা্পজল পরিমাণমত মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে রোধে পুড়া দাগ ও কাল দাগ কমে যাবে, ত্বক মসৃন, সুন্দর, উজ্জল হবে।
  • মসুর ডাল ১ চামচ(পেষ্ট করা) অথবা ২ চামচ গুড়ো, কাঁচা হলুদ বাটা ১ চামচ সাথে দুধের সর ১ চামচ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বক মসৃন, সুন্দর, উজ্জল ও চোখে নিচের কাল দাগ কমে যাবে। সপ্তাহে ১/২ বার ব্যবহার ত্বকের জন্যে উপকারি।

মসুরের ডাল ব্যবহার করলে ত্বকে কি পরিবর্তন দেখা যায়

ত্বক যত্নে আমরা কতো কি না ব্যবহার করি। তাতেও ত্বক নিয়ে সমস্যার কমতি নেই। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সহ নানা সমস্যা সমাধান দিতে পারে মসুরের ডাল। কি আবাক হচ্ছেন! মসুরের ডাল দিয়ে ত্বকের যত্নের কথা শুনে। চিন্তা করার কিছুই নেই।
একটু নিয়ম করে ব্যবহার করলেই মসুরের ডাল হতে পারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির বড় কারণ। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে হলে মসুরের ডাল ব্যবহার করলে কি ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় তা জানতে হবে। নিম্নে মসুরের ডাল ব্যবহার করে ত্বকে যেসব পরিবর্তন দেখা যায় তা দেওয়া হলোঃ


১. মুখের লালচে ভাব দূর করতে : সারা রাত কাঁচা দুধে ডাল ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই ডাল বেটে মুখে লাগান। এতে মুখের লালচে ভাব দূর হবে।
২. রোদে পোড়া দাগ কমাতে : মসুর ডাল বাটা, হলুদ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। রোদে পোড়া দাগ কমে যাবে।
৩. ত্বক সতেজ রাখতে : টক দই, মধু ও মসুর ডাল বাটা দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪. পিঠের ও মুখের দাগ দূর করতে : মসুর ডাল বাটা, চালের গুঁড়া, মুলতানি মটি, শসার রস ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট মুখে ও শরীরে লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলুন।
৫. কনুইয়ের রুক্ষ ভাব কমাতে ও কালো দাগ দূর করতে : মসুর ডাল বাটা, পালংশাক বাটা, হলুদ বাটা, টমেটোর রস, কাঁচা দুধ ও সূর্যমুখীর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে হাতের কনুইয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মসুর ডাল। ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও বলিরেখা দূর করতে মসুর ডাল দুর্দান্ত কার্যকরী। একইসঙ্গে এটি ব্যবহারে ত্বক হয় আরও ফর্সা ও কোমল। তাই আমাদের মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা উচিত। অতীতে বিয়ের কয়েকদিন আগ থেকেই কনের মুখে মসুর ডাল বেটে লাগানো হতো। কারণ এতে তাৎক্ষণিক ফর্সা ত্বক পাওয়া যায়। মসুর ডালে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান।

এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর প্রোটিন থাকে। তাই মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের টিস্যু সজীব রাখে। সপ্তাহে ২-৩ বার মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারেই ত্বক হয়ে ওঠে টানটান। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও মসুর ডাল খুবই উপকারী। দুধের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার প্রকোপ কমে। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা প্রায় অনেকেই জানি না।
মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বক আরও ফর্সা হয়ে উঠে। এটি ব্যবহারে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বের হয়ে যায়। কারণ এতে থাকে থাকে ভিটামিন বি ১, ভিটামিন কে ও ভিটামিন এ। এই ভিটামিনগুলো ত্বকের সানট্যান দূর করে। তার সঙ্গে ত্বকে পুষ্টিও যোগায়। ফলে ত্বক স্বাভাবিক ভাবেই অনেক ফর্সা হয়ে যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করে মসুর ডাল। তাই আমাদের মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানা থাকলে সহজে নিজেদের যত্ন নিতে পারবো।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে এই ফেসপ্যাকটি অনেক কার্যকরী। একটি অসাধারণ ফেসপ্যাক হলো এই মসুর ডালের গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এরমধ্যে প্রয়োজনমতো অন কাঁচা দুধ এবং বেসন দিতে হবে মিশ্রণটি তৈরি করে মুখে হাতে বেশ খানিকক্ষণ লাগে আপনাকে রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে অল্প একটু একটু করে জলের সাহায্যে ভালো করে ঘষে তুলে নিলে টক একেবারে ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

উপরোক্ত বিষয় থেকে মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পেরেছি। আর মসুরের ডাল কমবেশি সকলের ঘরে থাকে। তাই মসুরের ডাল দিয়ে সহজেই নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়া যাবে। ত্বকের দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে মসুরের ডালের কোন তুলনা হয় না।

শেষ কথাঃ মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

রূপচর্চায় মসুর ডাল অতুলনীয়। এতে রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ডায়াটারি ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ভিটামিন এ, সি, ই, কে।‌ এগুলো শরীরের পাশাপাশি সুস্থ রাখে ত্বক। নিয়মিত মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়। উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য মসুর ডাল গুঁড়া করে বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে নিন ফেসপ্যাক।

ফর্সা হওয়ার জন্য মসুর ডাল হলো অতি অসাধারন একটি উপাদান। প্রাচীনকাল থেকেই মসুর ডাল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মসুর ডাল দিয়ে ত্বক অতি সহজেই পরিষ্কার এবং ঝকঝকে হয়ে যায় ফর্সা হওয়ার জন্য আপনিও ব্যবহার করতে পারেন মসুর ডালের ফেসপ্যাক।

উপরোক্ত বিষয় থেকে মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমরা সকলে আমাদের ত্বককে অনেক ভালোবাসি। আমরা কখনো চাই না ত্বকে কোন ধরনের দাগ হোক। মসুরির ডাল ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ত্বকের যত্নে মসুরির ডালের কোন তুলনা হয় না। ২৫৮৯০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url